উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হতে বাকি রয়েছে মাত্র দুই দিন। কিন্তু স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে অংশ নেওয়া না–নেওয়ার প্রশ্নে দলের অবস্থান সম্পর্কে এখনো অস্পষ্টতায় রয়েছেন বিএনপির তৃণমূলের নেতারা।
কারণ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি। ঈদের আগেই দলটির নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার কথা বলা হলেও সেই বৈঠক হয়নি।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী বিএনপির তৃণমূলের নেতাদের অনেকে বলেছেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট করলে দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার ভয় তাঁদের মধ্যে রয়েছে। সে জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবেন তাঁরা।
গত দুই সপ্তাহে বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুটি বৈঠক স্থগিত করা হয় বলে জানা গেছে।
দলের স্থায়ী কমিটির ওই দুটি বৈঠক না করার পেছনে কৌশল থাকতে পারে বলে বিএনপি নেতাদের অনেকে মনে করছেন। তাঁরা বলছেন, দলের তৃণমূলের নেতাদের অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। তাঁদের ব্যাপারে নমনীয়তা দেখানো হতে পারে—এমন আলোচনাও রয়েছে দলটির ভেতরে। এমন পটভূমিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এখনই দলগতভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না দেওয়ার বিষয় থাকতে পারে।
তৃণমূলে ভোটে আগ্রহ, তবে আছে ভয়
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর বিএনপি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পরেও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোয় প্রথম দিকে অংশ নিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় দলটি।
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি বিএনপির পুরোনো অবস্থান। সরকারবিরোধী আন্দোলনে থেকে গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। সেই আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে পুরোনো অবস্থানই আরও জোরালো হয়েছে। উপজেলাসহ স্থানীয় সরকারব্যবস্থার অন্য কোনো নির্বাচনেও দলীয়ভাবে অংশ না নেওয়ার অবস্থানের কথা বলে আসছেন বিএনপির নেতারা।
0 মন্তব্যসমূহ